রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃনানান দূর্ণীতি অনিয়মের খসড়া ধরে ওএসডি ও রদবদল করনে স্বচ্ছ বিসিসি’র কারিগর হিসেবে দক্ষ মেয়র হিসেবে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র নাম স্বল্প সময়ের মধ্যেই আলোড়ন তৈরি করেছে। সে স্বচ্ছতায় কালি ছোঁড়ার পায়তারায় নানান ভাবে কূটকৌশল অবলম্বন করে নাটকীয়তার লবিং তদ্বিরে পূনর্বহাল হবার নগ্ন মিশনে নেমেছে কতিপয় কর্মচারীরা।বিসিসি’র সূত্রে জানা গেছে,বহু তপস্যার পরে কয়েক লক্ষটাকা ব্যায়ে প্রায় এক যুগ পূর্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকা কালীন বরিশালের নকশা আনা হয়ে ছিল বিসিসিতে।
তৎকালীন সময়ের দায়িত্বশীল আওলাদ হোসেন দিলু নির্বাহী প্রকৌশলী আঃমোতালেব সরদারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাজে ব্যবহার করার জন্য দেয়া হলেও তার হদিস নেই বর্তমানে। যে কারনে বিসিসি’র সম্পত্তি শাখার নগরউন্নয়নের স্বার্থে জমি অধিগ্রহণ কিংবা নকশা অনুযায়ী সুষ্ঠু কর্মপরিচালনায় বেগ পেতে হচ্ছে চরম ভাবে।
সম্পত্তি শাখার বয়োজ্যেষ্ঠ সার্ভেয়ার আঃলতিফ এ বিষয়ে জানান, তৎকালীন মেয়রের দায়িত্বে থাকা এ্যাডঃমজিবর রহমান সরোয়ার বিসিসি’র সম্পত্তির হিসাব আর সুষ্ঠু ভাবে সার্ভে কাজের স্বার্থে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে বহু কাট খড় পুড়িয়ে গোটা বরিশালের নকশা আনার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আনার প্রচেষ্টা চালানো হলেও।তৎকালীন মেয়র এ্যাডঃমজিবর রহমান সরোয়ারের পরিষদের সময়সীমা অতিক্রম হওয়ায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিসিসি পরিচালনায় আওলাদ হোসেন দিলুকে দায়িত্ব প্রদান করে।
২০০৬/২০০৭ সালে গোটা বরিশালের নকশার মজুদ করে তার দায়িত্বের সময়কালে । আর এ নকশা তৎকালীন বিএনপি’র মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ারের আস্থাভাজন পাম্প অপারেটর তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী আজীজ শাহিনের জিম্মায় দেয়া হলে সার্ভেয়ারদের পরিমাপ ও বিসিসি’র কার্যস্বার্থে তার কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে কর্মসম্পাদন করে আসছিল বেশ কিছু দিন।পরবর্তীতে ক্ষমতার পালাবদলে আঃলীগের মেয়র হিসেবে প্রয়াত শওকত হোসেন হিরন মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরে বিসিসি’র লক্ষাধীক টাকার নকশা, জরুরী নথিপত্র সহ বেশকিছু অফিস ডকুমেন্টারি নিজের জিম্মায় বা হাতের কারিশমায় ভ্যানিস করে আজীজ শাহীন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক কর্মচারীরা জানায় ক্ষমতায় থাকা মেয়র কর্তা ব্যক্তিদের সাথে সক্ষতা গড়ে জরুরী অফিসিয়াল অতিবগুরুত্বপূর্ন কাগজপত্র এবং নথিবলে হাটবাজার শাখা থেকে নামে বেনামে বেশ কয়েকটি ষ্টলের মালিক বনে যায় নুরুল ইসলামকে বাগিয়ে তিনি।
বহু তপশ্যার নকশা ধরে সরকারি খাস জমি অধিগ্রহণের জন্য ভূমি হীন হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করে জেলা প্রশাসক কর্তৃক জমি বরাদ্দ নিয়ে তা অর্ধেক ব্যক্তি লিজ প্রদান করে যা সম্পূর্ণ বিধি বহির্ভূত। বিসিসিতে কর্মরত এবং ব্যক্তি সম্পদ থাকা সত্বেও সাবেক জেলা প্রশাসককে মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে জমি অধিগ্রহণ করে পরে তা চড়া দরে লিজ প্রদান করে অর্থ কামানোর সে মিশন সফল হয় বিএনপি ধরনা মেয়র আহসান হাবীব কামালের সরাসরি আশির্বাদ আজীজ শাহিনের উপর থাকার ফলে বলে জানায়।
এ বিষয়ে বিসিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আঃমোতালেব সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি নকশা সার্ভেয়ার লতিফ ও আশ্রাফের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানানো হলেও সার্ভেয়ার আব্দুল লতিফ ও আশ্রাফের সাথে কথা বললে তারা জানায়,গত ২০০৬/২০০৭ সালে প্রথম কদিন আজীজ শাহিনের কাছ থেকে চেয়ে চেয়ে কর্মসম্পাদন করতে হতো এর পরে হঠাৎ করেই গায়েব ঐ নকশার পুরো বাক্স।চাকুরী বিধি বিধান উপেক্ষা করে তৎকালীন সময়ের বিএনপির মেয়র এ্যাডঃমজিবর রহমান সরোয়ার ও এর পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে আওলাদ হোসেন দিলু’র আমল এবং সাবেক পরিষদের বিএনপির মেয়র আহসান হাবীব কামালের ক্ষমতায় অর্থের ঝুনঝুনাতে কয়েক লাফে ট্রেড লাইসেন্স শাখার সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদে আসীন হয়ে রামরাজত্ব কায়েম করে আজীজ শাহিন বলে অভিযোগ একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীদের।ট্রেড লাইসেন্স শাখার সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদে আসীন হয়ে চেয়ারের গরমে ক্ষমতার দাপটে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুপস্থিতির সুযোগে তিনিই ম্যাজিষ্ট্রেটের সাক্ষরের স্থানে স্বাক্ষর দিয়ে বৈধতা প্রদানে বিসিএস ক্যাডারের ভূমিকা পালনে প্রশ্নবিদ্ধ হয় গোটা সরকারি প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তাদের কাছে তৃতীয় শ্রেনীর চতুর্থ গ্রেটের কর্মচারীর কান্ডে।ট্রেড লাইসেন্স বইয়ে বিসিএস ক্যাডার বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষরের স্থানে তৃতীয় শ্রেনীর চতুর্থ গ্রেটের কর্মচারী আজিজুর রহমান শাহীন স্বাক্ষর প্রদান করে নিজেই বিসিএস ক্যাডারের ভূমিকায় বিসিসি’র দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা প্রধান ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে তুলনা করার ঘটনা ঘটায়।
আর চাকরির বিধি বিধান অমান্য করে এহেন ঘটনায় কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি বিএনপির মেয়র আহসান হাবীব কামালের ক্ষমতার কারনে।
বর্তমানে বিসিসি’র ট্রেড লাইসেন্স শাখার সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদ থেকে ওএসডি হওয়া থেকে নিজেকে পুনর্বাসন প্রকৃয়ায় ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র নানান কটু কথা এবং অফিস তথ্য পাচারের মাধ্যমে সচিব, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা’র আস্থাভাজন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত করনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে নানান নাটকীয় ঘটনার জন্মদিয়ে সমালোচনায় ব্যাপক ভাবেই টক অব দ্যা সিটিতে আজিজ শাহীনের নামটি ডউয়াতলার ফকিরের ফেইসবুক স্ট্যাটাসি।
এবংতার কৌশলী ব্লাকমেইলিংএর এক পর্যায়ে এক কর্তা ব্যক্তির মৌখিক নির্দেশনা মোতাবেক স্বপদে পূনর্বহাল করা হচ্ছে বলেও ঢেঁড়া পেটাচ্ছে তিনি বলেও বিসিসি’র এক কর্মচারী জানায়।চাকরী বিধি মোতাবেক বিসিসিতে কর্মরত থাকা অবস্থাতে কোন ক্রমেই বৈতনিক অবৈতনিক কিংবা ব্যবসায়ীক কোন কাজ করার বিধান না থাকলেও বরিশাল বেতার, বরিশালের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডাক্তারদের বিজ্ঞাপনদাতা, ঔষধ প্রতিনিধিত্ব করা সহ নাট্যমঞ্চে অভিনয়,প্রতিবন্ধীদের ব্যানারের বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষদের কাছ থেকে বেহিসাবি চাঁদা উত্তোলনের ধারাবাহিকতা চলমসন প্রকাশ্য হয়ে রয়েছে তার ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ গনমাধ্যম ফেইসবুকে।এ বিষয়ে বিসিসি’র ট্রেড লাইসেন্স শাখার ইন্সপেক্টর রেহমান আনিস বলেন, তার বিগত দিনের বিষয় তার অবগত না থাকলেও ট্রেড লাইসেন্স শাখার ডাটাবেইজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে তিনি ডিজিটাইজ করনের বিষয়টি প্রশংসনীয়।
তবে ওএসডি করন এবং পূনর্বহাল করনের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণই দাপ্তরিক কাজ। সে বিষয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষই সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করে বলতে পারবেন আমার জানা নেই। ট্রেডলাইসেন্স শসখার সুপারিন্টেন্ডেন্ট শহিদুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানায় গতকাল বিকেল আনুমানিক বিকাল ৪ টার দিকে সচিব স্যার তার কক্ষে ডেকে মৌখিক ভাবে সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদ থেকে পূর্বের পদে এবং তার কক্ষে উপস্থিত থাকা ওএসডি কৃত আজীজ শাহিনকে সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশনা প্রদান করেছে। তবে কোন অফিস আদেশ চিঠি ছাড়াই মৌখিক ভাবে এহেন সিদ্ধান্ত পদবদল করন কতটুকু চাকুরী বিধি অনুযায়ী তা বোধগম্য হচ্ছেনা নগর ভবনের কর্তব্যরতদের কাছে।
গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থ বছর শেষ হতে না হতেই ৫০ লক্ষ টাকা বেশী আদায় এবং ২ হাজারের বেশী ট্রেড লাইসেন্স বেশী হওয়া সত্ত্বেও ওএসডিকৃত সেই আজীজ শাহিন কে পুনর্বহাল করনের এহেন মৌখিক নির্দেশনা প্রদান করায় নগরভবন চত্বরে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।গত অর্থ বছরের চেয়ে দেড় কোটি টাকা বেশী আদায় হবার সম্ভাবনাময় রদবদলের কারনে বলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।এ বিষয়ে বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃখায়রুল বাশার জানান দাপ্তরিক সকল কাজ সকল বিষয় সিদ্ধান্ত কতৃপক্ষের আলোচনায় সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গৃহীত হয়। অপরদিকে বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্য মতে জানা গেছে, প্রশাসনিক দপ্তরের সাথে গোপন সক্ষতা গড়ে পুনর্বহাল হতে মেয়রকে ম্যানেজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার মন জয় করনের জন্য বিশেষ কয়েক মেয়রের আস্থা ভাজন কতিপয়দের সাথে আতাত করেছে। আজ সোমবার যে কোন উপায়েই ট্রেড সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদটিতে আসিন হতে অফিস আদেশের মাধ্যমে মধুর সে চেয়ারে আসিন হবে বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি’র) ওএসডি কৃত আজিজ শাহীনের মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply